ভিডিও

তাড়াইলে সিঁধ কেটে শিশু চুরি, আটক ২    

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৪, ০১:৩৭ দুপুর
আপডেট: জুন ১১, ২০২৪, ০২:১০ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে সিঁধ কেটে চুরি হয়ে যাওয়া আড়াই মাস বয়সী শিশু জোনায়েদকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বেত্রাটি গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় রুবেল ও শাস্ত বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যার দিকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। 

জানা গেছে, সাজ্জাদ হোসেন ও নাজমিন দম্পতির দুই মাস বয়সের শিশু জুনাইদকে ঘরের সিঁধ কেটে রোববার গভীর রাতের দিকে দুর্বৃত্তরা চুরি করে নিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, এমন ঘটনা ঘটার পর আমরা অভিযানে নেমে দুইজনকে আটক করি। আমরা প্রথমে দুই শ্রেণির লোকদেরকে টার্গেট করে আগাই। যার অনেকগুলো মেয়ে সন্তান রয়েছে, শুধুমাত্র একটি ছেলের জন্য ভীষণ রকমের প্রত্যাশী। আশেপাশেই এ রকম খোঁজা শুরু করি। এরই মধ্যে একটি ক্লু পেয়ে সে অনুযায়ী কাজ শুরু করে পুলিশ। ক্লু অনুযায়ী পুলিশ জানতে পারে যে, জনৈক রুবেল-খাদিজা দম্পতির তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে, চতুর্থ সন্তানও কন্যা এটা তারা নিশ্চিত হয়েছেন। এ বিষয়ট যাচাই করার জন্য রবিবার যে হাসপাতালে খাদিজা কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছে, সেই হাসপাতালে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে রুবেল-খাদিজা দম্পতির একটি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান হয়েছে জানা যায়। দম্পতির দাবি অনুযায়ী এটি চতুর্থ কন্যা সন্তান এবং অন্যটি তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান। কিন্তু রবিবার যে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়েছে বলে তারা দাবি করছেন, তার বাহ্যিক অবয়ব ও লক্ষ্মণে সেটা একদিন আগের বলে মনে হয়নি। ফলে সন্দেহ ঘনীভূত হয়। পারিপার্শ্বিক স্বাক্ষীদের মাধ্যমেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে পুলিশকে তথ্য প্রদান করে। পরে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, পুত্র সন্তানটি প্রকৃত অর্থেই রুবেল-খাদিজা দম্পতির সন্তান নয়। বরং এটি সাজ্জাদ-নাজমিন দম্পতির চুরি হওয়া সন্তান জুনাইদ। 

আটক রুবেল ও তার শাশুড়ি শিশুটিকে চুরির কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন বলে জানান পুলিশ সুপার। পর পর চারটি কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়া এবং পুত্র সন্তানের আকাঙ্ক্ষা তারা এ কাজটি করেছে বলে ধারণা পুলিশের। 

জানা গেছে, রোববার গভীর রাতে নাজনীন তার ছেলে জুনাইদকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। জুনাইদ এর বাবা সাজ্জাদ হোসেন চট্টগ্রামে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। এতে তিনি অধিকাংশ সময়ই চট্টগ্রামে থাকতেন। তার স্ত্রী নাজনীন তার সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখেন তার ছেলে বিছানায় নেই। পরে তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এসে দেখে সিঁধ কেটে তার শিশু সন্তানটি চুরি হয়ে গেছে।

এরপর তাড়াইল থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অভিযানে সদর উপজেলার বেত্রাটি গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত রুবেল ও শাস্ত বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS